সারাবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রথানির্ভর হিন্দু আইন সংস্কারের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ’ (Bangladesh Hindu Law Reform Council) নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়েছে। সংগঠনটি পরিচালনার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৩৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কমিটিকে পর্যায়ক্রমে ১০১ সদস্যে উন্নীত করা হবে। নবগঠিত এই সংগঠন হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য আরও গবেষণা, আলাপ-আলোচনা, জনমত গঠন এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালনা করবে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর, ২০২১) হিন্দু আইনের অধীন হিন্দু, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকদের সমন্বয়ে একটি ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মিতা রানী রায় চৌধুরীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কাজ করবে। উত্তরাধিকার আইনে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা হবে এই পরিষদের অগ্রাধিকার। বাকি চারটি দাবি হলো— অভিভাবকত্ব আইনের লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন, দত্তক আইনের লিঙ্গ ও বর্ণবৈষম্য নিরসন, বিবাহ বিচ্ছেদ আইন প্রণয়ন এবং বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা। সভা থেকে বিদ্যমান হিন্দু আইনের লিঙ্গ বৈষম্যসহ সব ধরনের অসঙ্গতি নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আবেদন জানানো হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ড. ময়না তালুকদারকে, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন পুলক ঘটক। কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে রয়েছেন রিনা রায়, সুভাষ সাহা, অধ্যাপক ড. নির্মল কুমার সাহা, ড. সঞ্চিতা গুহ ও ড. নিরু বড়ুয়া।
কমিটির কোষাধ্যক্ষ পদে পুলক রাহা, দফতর সম্পাদক পদে মিতা রানী রায় চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক পদে সমিরন রায় ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ছন্দা রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন— অজয় দাশগুপ্ত, তপন চক্রবর্তী, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, দীপালি চক্রবর্তী, মধুমিতা বড়ুয়া, চিত্রা রায়, কনক বিশ্বাস, ঈশানী চক্রবর্তী, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, ড. কেশব কুমার অধিকারী, গোকুল কৃষ্ণ পোদ্দার, স্বপ্না রাণী বিশ্বাস, সুমনা গুপ্ত, অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী, চন্দন চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট রাজেশ পাল, গীতা বিশ্বাস, এম কে আচার্য রাকেশ, পিন্টু সাহা, বাবলা সেন গুপ্ত, লক্ষ্মী রানী বাড়ুই, অজন্তা দেব রায় ও সুস্মিতা দে।
ফেসবুক গ্রুপ লিংক: হিন্দু আইন সংস্কার চাই