বিশ্বে মুসলিম আইন পরিবর্তনের গতিধারা

পুলক ঘটক

মানব ইতিহাসে ক্রমোন্নতির ধারাবাহিকতায় আইনশাস্ত্র বিকশিত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন মর্জির শাসকদের হাত দিয়ে বিভিন্ন রকম আইন হয়েছে। আইন শাস্ত্রের ইতিহাস বলছে, প্রথম “ইসলামী সিভিল কোড” বা “মেসেলে-ই আহকাম” প্রবর্তন হয়েছিল অটোমান সাম্রাজ্যের আমলে ১৮৭৭ সালে। নতুন এই সিভিল কোড প্রণয়ণের নেতৃত্বে ছিলেন প্রখ্যাত আইনবিদ আহমেদ সেভদেত পাশা, যিনি তৎকালীন সময় পর্যন্ত বিকশিত ইউরোপিয় আইন ও রাষ্ট্রতত্ত্বে সুপণ্ডিত ছিলেন। সঙ্গত কারণেই এ আইনের উপর পাশ্চাত্যের প্রভাব বেশি বলে গবেষকরা দাবি করেন। তবে প্রণেতাদের দাবি, তারা ‘আল কাওয়াইদুল ফিকহিয়্যাহ’ দ্বারা অনুপ্রাণিত; যার উৎস চারটি – ১. কোরআন, ২. সুন্নাহ, ৩. ইজমা এবং ৪. কিয়াস।

বাংলাদেশে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করে লিঙ্গবৈষম্য নিরসনের দাবিতে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত মিছিলে পুলিশের বাধা। সূত্র: বিএমপি ১৯৯৩: ১২২, স্মরণিকা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৯৭০-৯২, ঢাকা

হিন্দু পারিবারিক আইনের উৎস তার চেয়ে অনেক প্রাচীন। বেদ, সংহিতা, পুরাণশাস্ত্র ও বিবেকের বাণীকে উৎস বিবেচনা করলে সম্ভবত বাংলাদেশের হিন্দু আইনই বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জীবিত আইন। কিন্তু সে সব গ্রন্থ আইনের কথিত উৎস মাত্র। বিদ্যমান হিন্দু আইনে উৎসের নাম-গন্ধ আছে; মৌলিকত্ব কিছুই নেই। বাস্তবে ইংরেজরা প্রবর্তনের আগে “হিন্দু আইন” নামে কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিলনা। ইংরেজরা যে হিন্দু আইন করে গেছে তার সাথে ধর্মের সম্পর্ক “হিন্দু” নামে। অঞ্চলভিত্তিক ও গোষ্ঠীভিত্তিক বিভিন্ন প্রথাকে ইংরেজরা আইনে পরিণত করেছিল। অথচ প্রথাগুলো কখনই সকল অঞ্চলের সব হিন্দুর জন্য সার্বজনীন আইন ছিল না; আজ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনসহ বিভিন্ন আদিবাসী ধর্মীয় সম্প্রদায়কে হিন্দু আইনের আওতায় ফেলা হয়। তার মধ্যেও অনেক বৈচিত্র্য। সেকালে বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য এবং বিভিন্ন গোত্রের জন্য বিভিন্ন রকম হিন্দু আইন হয়েছিল, আজও আছে। ইংরেজ আমলেই আইনগুলো বহুবার সংশোধন হয়েছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দেশটি ইংরেজদের আইন বাদ দিয়ে নতুন হিন্দু আইন বানিয়েছে। ইংরেজ শাসনমুক্ত নেপালের হিন্দু আইন আগে থেকেই স্বতন্ত্র ছিল।

এ কথার পর প্রিয় পাঠকবৃন্দ মুসলিম আইনের আদি ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক করতে চাইলে করতে পারেন। কেউ বলবেন, মুসলিম আইন হযরত মুহাম্মদের আমল থেকে শুরু হয়েছে; কেউ বলবেন, না, এ আইন তারও আগে ওল্ড টেস্টামেন্টের (ইহুদিদের তোরাহ, যা মুসলমানদের বিশ্বাসে তাওরাত নামক আসমানি কেতাব) সময় থেকে শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলতে পারেন মুসলিম আইনের শুরুটা খলিফা উসমানের আমলে কোরআন সঙ্কলনের মধ্য দিয়ে। কেউ হয়তো বলবেন উমাইয়া খেলাফতের সময় থেকে আব্বাসী শাসনামল পর্যন্ত হাদিস সংকলনের দু’শো বছর সময়কালে ইসলামী আইন বিকশিত হয়েছিল। যার যা ইচ্ছা বলতে পারেন। মুঘলদের হাত দিয়ে, নাকি তারও আগে তুর্কি বা পাঠান শাসকদের হাত ধরে ভারতবর্ষে ইসলামী আইন চালু হয়েছিল তা নিয়েও বিতর্ক করতে পারেন। সে বিতর্কে আমি জোর দিব না। আমি শুধু ইতিহাসের বাস্তবতা সংক্ষেপে তুলে ধরছি – তা হল, বহুমাত্রিক পরিবর্তন।

যখনই আপনি কোরআন ও সুন্নাহ’র পর ইজমা এবং কিয়াস কে ইসলামী আইনের উৎস হিসেবে মেনে নিয়েছেন, তখনই আপনি আইনের পরিবর্তনধর্মী বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। কোরআন এবং সুন্নাহ্ কি আমরা সবাই জানি। কিন্তু ইজমা ও কিয়াস কি? কিয়াস হল তুলনা ও অনুমান। যখন কেউ নতুন বাস্তবতায় নতুন কোনো সমস্যার মুখোমুখী হবে তখন অতীতের সঙ্গে (বিশেষত নবী এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলের অনুরূপ কোনও ঘটনার সঙ্গে) তুলনা করে নতুন বাস্তবতায় কি হতে পারে তা অনুমান করবে। আর ইজমা হল, কোনও বিষয়ে আলেমদের ঐক্যমত্য। এই ঐক্যমত জিনিসটা কঠিন। পণ্ডিতে পণ্ডিতে ঐক্যমত যত পাবেন, তত পাবেন বিরোধ। ঐক্য ও বিভেদ নিয়ে ইতিহাসে অশান্তি ও রক্তারক্তির নজির অসংখ্য। এ অবস্থা আজও চলছে। তুলনা, অনুমান ও ঐক্যমত্য দ্বারা সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ইসলামী আইন শুরুর দিন থেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করে। সুতরাং আদি ইতিহাস যেভাবেই দেখুন, ইসলামী আইনের ধারাবাহিক ইতিহাস হল বহুমতের, বিচিত্র শাখার এবং নানাবিধ পরিবর্তনের ইতিহাস।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলামী আইন (ফৌজদারি ও দেওয়ানী উভয়বিধ আইন) এবং রাষ্ট্রকাঠামো বিভিন্ন রকম। আফ্রিকার মুসলমান প্রধান দেশগুলোর আইনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আইন মিলছে না। খোদ আরব ভূমিতে যতগুলো দেশ আছে, তারা সবাই রাষ্ট্র কাঠামো এবং ইসলামী আইনের প্রশ্নে এক ও অভিন্ন অবস্থানে নেই। ভূচিত্রে পশ্চিমের তুরস্ক থেকে পারস্য (ইরান) হয়ে দকি্ষণ পূর্বমুখে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ হয়ে একদম পূর্ব দিকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত যান –এই দেশগুলোতে এক ও অভিন্ন ইসলামী আইন পাবেন না। অথচ প্রত্যেকটি দেশে কোনো না কোনো প্রকার ইসলামী আইন আছে এবং অতীতে অথবা বর্তমানে ইসলামী শাসকরা শাসন করেছে।

আধুনিক যুগে যারা দারুল ইসলাম চায়; অর্থাৎ সরাসরি ইসলামী রাষ্ট্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র, ইসলামী তথা সামরিক, বেসামরিক (দেওয়ানী), ফৌজদারি আইন তথা শরিয়া আইন চায় তাদেরকেও আমি এসব বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে দেখিনি। জিজ্ঞেস করেছি, কেমন ইসলামী আইন চান? সৌদি স্টাইলের ওয়াহাবি শরিয়া আইন, ইরানের মতো শিয়া আইন (কান-ই-মদানি), আফগান তালেবানদের মতো আইন, আইএস বা আল কায়েদার দেখানো আইন – কোনটি চান? নারীদের অবস্থা কেমন হবে, নারী নেতৃত্ব চলবে কিনা ইত্যাদি প্রশ্নে এক এক করে যতজনকে জিজ্ঞেস করেছি কেউ আমাকে অভিন্ন ধারণা দিতে পারেনি। প্রত্যেকটি গ্রুপ নিজেদেরকে সহিহ মনে করে। অভিন্ন মুসলিম পারিবারিক আইন পৃথিবীতে নেই। পড়াশোনা করে বিশ্ব মুসলিমের জন্য অভিন্ন ইসলামী আইনের কোনো অস্তিত্ব আমি খুঁজে পাইনি। আইনের এযাবতকালের ইতিহাসে তা নেই। পরিবর্তনই চিরন্তন ইতিহাস; পরিবর্তনই স্বাভাবিক ব্যাপার।

ইরানের বিদ্যমান “ইসলামী শাসন” তুলনামূলকভাবে অনেক দিন থেকে স্থিতিশীল। তারাও তাদের আইন বহুবার পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তনের আগেরটা ধর্মীয় থাকে, নাকি পরিবর্তনের পরে আইন ধর্মীয় হয় ভাবার বিষয়।

শিয়া, সুন্নি, হানাফী, মালেকী, শাফেয়ী, হাম্বলী, ওহাবী আইনি ধারণাগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করে এই লেখার কলেবর বাড়াব না। তাতে মূল প্রসঙ্গ হারিয়ে যাবে। মূল প্রসঙ্গ হল, বাংলাদেশে হিন্দু আইন সংস্কারের দাবি দিনে দিনে প্রবল হওয়ার সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে বা অনিয়মিত বিরতিতে মুসলিম পারিবারিক আইন পরিবর্তনের দাবি সামনে আসছে; বাধাও আসছে। গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল, ২০২৪) ‘নারী অঙ্গন’ নামে একটি সংগঠন নরংসিদিতে “পারিবারিক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার এবং নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা” শিরোনামে আলোচনা সভা করতে চেয়েছিল। তাদেরকে কর্মসূচী স্থগিত করতে হয়েছে। কারণ নরসিংদী প্রেসক্লাব শেষে তাদেরকে হলরুম দেয়নি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ক্লাবের অভ্যন্তরীণ হুজুর ও বাইরের হুজুরদের বাধার মুখেই প্রেসক্লাব তাদের ভেন্যূতে সংগঠনটিকে আলোচনা সভা করতে দেয়নি। নারী অঙ্গন সাময়িকভাবে পিছু হটতে বাধ্য হলেও ঘোষণা দিয়েছে, “নারীর সমান উত্তরাধিকার নিয়ে লড়াইয়ে আমরা আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।” এই দৃঢ়তাই সাফল্য। ‘নারী অঙ্গন’ সফল হয়েছে। ঢাকায় মহিলা পরিষদের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠন এবং অনেক বড় বড় সুপ্রতিষ্ঠিত সংগঠন নারীর সমঅধিকারের দাবিতে অনেকবার আলোচনা সভা করেছে। কিন্তু নাদিরা ইয়েসমিনের নেতৃত্বাধীন ছোট সংগঠন ‘নারী অঙ্গন’ তাদের চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে; বেশি সফল হয়েছে। কারণ হল, ঐ বাধা। যেখানে বাধা আসে, সেখানেই লড়াই তীব্র হয়। সে বাধাই আমার আলোচনার প্রসঙ্গ।

ভারতে ইসলামি পারিবারিক আইন পরিবর্তন উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ।

বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন অনেকবার অনেকভাবে পরিবর্তন হয়েছে। ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিপারিক আইন অধ্যাদেশ (Muslim Family Laws Ordinance, 1961) জারির মাধ্যমে একদফায় বড় পরিবর্তন করে গেছেন আইয়ুব খান। তার আগে মুঘল আমলে এবং বৃটিশ আমলেও পরিবর্তন হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, এরশাদ, খালেদা, হাসিনা সবার আমলে মুসলিম পারিবারিক আইনের বিভিন্ন বিধানে পারিবর্তন এসেছে। যৌতুক নিরোধ আইন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ক্ষেত্রে হিন্দু ও মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধানকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। এদেশে আদালতের আদেশেও আইনের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হয়েছে। মুখের কথায় তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তালাকের ক্ষেত্রে নোটিশ দেওয়ার সিস্টেম চালু হয়েছে। নারীকেও তালাক দেওয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে। হিল্লা বিয়ের মতো নোংরামি নিষিদ্ধ হয়েছে। অভিভাবকত্ব আইন, সন্তানের পরিচয় নির্ধারণে মায়ের স্বীকৃতি, যৌনতায় সন্মতি প্রদানের বয়স, সাক্ষ্য আইন ইত্যাদির ক্ষেত্রে হিন্দু বা মুসলিম আইন চলছে না।

সম্রাট আওরঙ্গজেব ভারতবর্ষে শরিয়া আইন চালু করেছিলেন। ইংরেজ শাসক ওয়ারেন হেস্টিংস হাত, পা ও মুন্ড কাটার আইন অত্যন্ত অপছন্দ করতেন। ইংরেজরা সে আইন বাদ দিয়ে পেনাল কোড এবং সিআরপিসি ভিত্তিক ফৌজদারি শাসন ব্যবস্থা চালু করে গেছে। মুসলমানরা তা মেনে নিয়েছে। এখন যদি বাংলাদেশের বিদ্যমান ফৌজদারি আইন ও বিচার ব্যবস্থা বাতিল করে নতুন করে শরিয়া আইন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে বর্তমান যুগের বাঙালি মুসলমানরা কয়জন সমর্থন করবে এবং কয়জন প্রতিবাদে নামবে জানি না। কিন্তু জমিজমা ভাগাভাগির আইনের ক্ষেত্রে হাত দিলে বিরোধিতা প্রবল হয়। কারণ এর সঙ্গে সরাসরি ব্যক্তিগত স্বার্থ জরিত। আপাদমস্তক ধার্মিকও বিদ্যমান “ধর্মের আইন” লঙ্ঘন করে বোনকে ঠকায়। সেই স্বার্থপর মানুষ আইন সংশোধন করে বোনকে সমান অধিকার দিতে সহজে রাজি হবে – এটা আশা করলে বেশি হয়ে যায়। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে বিরোধ এবং লড়াই অবশ্যম্ভাবী। হিন্দু হন অথবা মুসলমান হন – যারা নারীর সমঅধিকার চান তাদেরকে বড় লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে মাঠে আসতে হবে। যারা পরিবর্তন চায় তারা বুদ্ধিমান ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। বুদ্ধিমানরা যা চায় তা হয়।

ভারতে মুসলিম পারিবারিক আইন সংশোধন করে মুসলমান পুরুষদের মুখের কথায় তিন তালাক দেওয়ার সুযোগ বাতিলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে নারীদেরকে দিয়েই বিক্ষোভ করানো হয়।

তবে সবসময় সবকিছু মাথায় হাত বুলিয়ে, বুঝিয়ে সুঝিয়ে হয় না। অটোমান সালতানাতের সময় নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ থাকলেও অন্তত তিনজন পুরুষ-সুলতানের মাথার উপর ছড়ি ঘুরিয়ে গেছেন মাহপেকার সুলতান (ওরফে কোসেম সুলতান) নামে খ্যাত এক বুদ্ধিমতি নারী। তিনি পর্দার অন্তরাল থেকে রাষ্ট্র শাসন করেছেন; সরাসরি সম্রাটের চেয়ারে বসতে না পেরেও প্রকৃত সম্রাজ্ঞী হয়েছিলেন। হুজুররাও তার মর্জিমাফিক ফতোয়া দিত। আজ অন্তরাল থেকে বেরিয়ে এসে নারীরা সম্মুখ অবস্থানে থেকে শাসন করছে। এই বাংলাদেশেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হুজুররা সমবেত হয়েছেন, আবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও হুজুররা সমবেত হয়েছেন। রাজনীতির খেলা এরকমই। নারী-পুরুষ ভেদ ঘুচে যায় ও যাবে – শুধু শুভবুদ্ধি ও কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন নারী-পুরুষকে একসাথে কাজ করতে হবে।

আগেই বলেছি, আইনের ইতিহাস হল পরিবর্তনেরই ইতিহাস এবং বৈচিত্র্যের ইতিহাস। অতীতের সব পরিবর্তনের সময় ছোটখাটো বাধা আসলেও মানুষ আল্টিমেটলি পরিবর্তন মেনে নিয়েছে। শুভচিন্তা ও কল্যাণকামী পরিবর্তন মানুষ মেনে নেয় এবং জ্ঞানবিজ্ঞানের সুফল ভোগ করে। সভ্যতার অগ্রগতি কেউ রোধ করতে পারে না, পারবে না। জয় মানুষ।

লেখক: সাংবাদিক; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_img
spot_img

বাছাইকৃত

বিশেষ নিবন্ধ