এদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা সংখ্যাগরিষ্ঠদের দায়িত্ব, এ মত দিয়ে তিনি হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে নারীদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন…
বাসস: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি। তবে, সরকার এটি তাদের উপর চাপিয়ে দেবে না। হিন্দু সম্প্রদায় এগিয়ে এলে সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে বৃহস্পতিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে আমরা অত্যন্ত জোর গলায় নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি। কিন্তু যখন নারীদের উত্তরাধিকারের কথা আসে তখন আমাদের গলার শব্দ স্তিমিত হয়ে যায়। এটা আমরা উত্তরণের চেষ্টা করব,”– আইনমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন।
এদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা সংখ্যাগরিষ্ঠদের দায়িত্ব, এ মত দিয়ে তিনি হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে নারীদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন।
ধর্মনিরেপেক্ষ দেশ হিসেবে এই দেশ মুসলমানদের জন্য যেমন, হিন্দুদের জন্যও ঠিক তেমন। তাই কোনো সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা আইন করে তাদেরকে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ হয়নি, এমনটাই মন্ত্রীর মত।।
যেখানে মুসলমান, হিন্দু সবাই সমানভাবে থাকতে পারবে এবং সকলেই বাঙালি এবং বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেবে, এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের অঙ্গীকারের কথাও বললেন তিনি।
আইনমন্ত্রী জানালেন, শেখ হাসিনার সরকার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে যেতে চায়– বাহাত্তরের মূল সংবিধানে যে চার মূলনীতির কথা বলা আছে সেগুলো সুনিশ্চিত করতে চায়– কারণ এগুলো বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়।
বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিচারপতি অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির এবং বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
সকৃতজ্ঞ স্বীকৃতি⇒ বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
ওয়েবসাইট⇒ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ
ফেসবুক গ্রুপ লিংক⇒ হিন্দু আইন সংস্কার চাই