চ্যানেল আই: বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রথানির্ভর হিন্দু আইন সংস্কারের লক্ষ্যে এই আইনের অধিনস্ত হিন্দু, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত নানা শ্রেণীপেশার নাগরিকদের সমন্বয়ে একটি ভার্চুয়াল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় ‘বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ (Bangladesh Hindu Law Reform Council)’ নামে একটি সংগঠন গঠন করা হয়।
এই সংগঠন পরিচালনার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। সদস্য সংখ্যা পর্যায়ক্রমে ১০১ সদস্যে উন্নীত করা হবে। নবগঠিত সংগঠন হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য অধিকতর গবেষণা, আলাপ আলোচনা, জনমত গঠন এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালনা করবে।
ক) হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, খ) অভিভাবকত্ব আইনের লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন, গ) দত্তক আইনের লিঙ্গ ও বর্ণবৈষম্য নিরসন, ঘ) বিবাহ বিচ্ছেদ আইন প্রণয়ন এবং ঙ) বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা– প্রাথমিকভাবে এই পাঁচটি দাবিতে সংগঠন কাজ করবে। তারমধ্যে উত্তরাধিকার আইনে সমতা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এক নম্বর দাবি হিসেবে গুরুত্ব পাবে।
সভা থেকে বিদ্যমান হিন্দু আইনের লিঙ্গবৈষম্যসহ সকল প্রকার অসঙ্গতি নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আবেদন জানানো হয়।
নবগঠিত এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা হলেন:
সভাপতি: ড. ময়না তালুকদার, সহযোগী অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সহ-সভাপতি: রিনা রায়, মানবাধিকার কর্মী; সুভাষ সাহা, সাংবাদিক, সমাজকর্মী; অধ্যাপক ড. নির্মল কুমার সাহা, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ সম্পাদক: পুলক ঘটক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী; যুগ্ম সচিব: ড. সঞ্চিতা গুহ, সহযোগী অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. নিরু বড়ুয়া, সহযোগী অধ্যাপক, পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; কোষাধ্যক্ষ: পুলক রাহা, মানবাধিকার কর্মী; দপ্তর সম্পাদক: মিতা রানী রায় চৌধুরী, ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞানী; প্রচার সম্পাদক: সমিরন রায়, সাংবাদিক; সাংস্কৃতিক সম্পাদক: ছন্দা রায়, সঙ্গীত শিল্পী।
সদস্য: অজয় দাশগুপ্ত, সাংবাদিক; তপন চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী; দীপালি চক্রবর্তী, সমাজকর্মী; মধুমিতা বড়ুয়া, সমাজকর্মী; চিত্রা রায়, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; কনক বিশ্বাস, সমাজকর্মী; ঈশানী চক্রবর্তী, সমাজকর্মী; অধ্যাপক ডা. শিলা সেন; ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, সিআইপি; ড. কেশব কুমার অধিকারী, সহকারী অধ্যাপক, ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়াম; গোকুল কৃষ্ণ পোদ্দার, সিইও, হেলথ-ল্যাব ঢাকা, (ল্যাবেড হাসপাতালের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা); স্বপ্না রাণী বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, মাগুরা; সুমনা গুপ্ত, সহকারী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী; চন্দন চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী; অ্যাডভোকেট রাজেশ পাল; গীতা বিশ্বাস, সমাজকর্মী; এম কে আচার্য রাকেশ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; পিন্টু সাহা, সমাজকর্মী; বাবলা সেন গুপ্ত, সমাজকর্মী; লক্ষ্মী রানী বাড়ুই, সমাজকর্মী; অজন্তা দেব রায়, সমাজকর্মী; সুস্মিতা দে, ভিপি, কুয়েত মৈত্রী হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সকৃতজ্ঞ স্বীকৃতি⇒ চ্যানেল আই
ওয়েবসাইট⇒ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ
ফেসবুক গ্রুপ লিংক⇒ হিন্দু আইন সংস্কার চাই