পুলক ঘটক
বৈদিক শিক্ষা প্রণালী ছিল গুরুমুখী। গুরুর বাড়িতে গিয়ে ছাত্ররা শিক্ষাগ্রহণ করত, গুরুর বাড়িতে কাজকর্ম করত এবং গুরুর বাড়িতেই থাকত। ছাত্রদের সকল ভরণপোষণের দায়িত্ব বহন করতেন গুরুদেব নিজেই। বালক বয়সে গুরুগৃহে আসার পর ছাত্ররা আচার্যের কাছে সন্তানের মতই বড় হত। সে যুগে পশুপালন বিশেষত গো-পালন ছিল জীবীকার মুখ্য অবলম্বন। দানের গরুতে অনেক আচার্যের গোয়াল ভরা থাকত। ছাত্ররা আচার্যদেবের সেই গরুবাছুর চড়াত। ব্রাহ্মণ, পন্ডিত, মুনি, ঋষি, আচার্য অর্থাৎ গুরুরা মুখ্যত ভিক্ষাজীবী ছিলেন। গুরুর সঙ্গে ছাত্ররাও গেরস্তদের ঘরে গিয়ে ভিক্ষা করতেন। ছাত্রদের এই জীবনটার ব্রহ্মচর্য জীবন। ব্রাহ্মণ গুরুদের গেরস্তরা দয়া করে দান করতেন না; শ্রদ্ধার সাথে দান করতেন। গেরস্ত তাদের দান করার সুযোগ পেয়ে ধন্য হতেন।
“শ্রদ্ধয়া দেয়ম, অশ্রদ্ধয়া অদেয়ং। শ্রিয়া দেয়ম। হিয়া দেয়ম। ভিয়া দেয়ম। সংবিদা দেয়ম।” [সূত্র: তৈত্তিরীয়োপনিষদে শিক্ষাবল্লীর একাদশ অনুবাকের তৃতীয় মন্ত্র]
অর্থাৎ শ্রদ্ধার সাথে দান করবে, অশ্রদ্ধার সাথে নয়। নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী দান করবে। নম্রতা, সম্ভ্রম এবং বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের সাথে দান করবে।” গুরু, পুরোহিত বা অভ্যাগত ব্রাহ্মণ কৃপা করে দান গ্রহণ করায় তাদেরকে এর মূল্য হিসেবে দক্ষিণাও দিতে হত। এ হল বৈদিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাধারণ বৈশিষ্ট।
শিক্ষার সঙ্গে অনিবার্য নৈতিক শিক্ষার এক নম্বরে আছে, “সত্য বলবে।” এই বাক্যটি পুন:পুন: নির্দেশ হিসেবে বেদে আছে।
“সত্যং বদ। ধর্মং চর। স্বাধ্যায়ান্মা প্রমদঃ। — সত্যান্ন প্রমদিতব্যম্। ধর্মান্ন প্রমদিতব্যম্। কুশলান্ন প্রমদিতব্যম্।” [সূত্র: তৈত্তিরীয়োপনিষদে শিক্ষাবল্লীর একাদশ অনুবাকে প্রথম মন্ত্র]
অর্থ হল, “সত্য বলিও। ধর্ম্ম আচরণ করিও। স্বাধ্যায়ে অর্থাৎ অধ্যয়নে অমনোযোগী হইও না। সত্য হতে বিচ্যুত হইও না। ধর্ম্মানুষ্ঠান থেকে বিচ্যুত হইওনা। স্বীয় কুশলে অর্থাৎ আত্মরক্ষা বিষয়ক কর্ম্মে অমনোযোগী হবে না।” তারপর বলছে,
“মাতৃদেবো ভব। পিতৃদেবো ভব। আচার্যদেবো ভব। অতিথিদেবো ভব। যান্যনবদ্যানি কর্মাণি তানি সেবিতব্যানি। নো ইতরাণি। য়ান্যস্মাকং সুচরিতানি। তানি ত্বয়োপাস্যানি।নো ইতরাণি।।” [সূত্র: তৈত্তিরীয়োপনিষদের শিক্ষাবল্লীর একাদশ অনুবাকে দ্বিতীয় মন্ত্র]
অর্থাৎ, “মাতা, পিতা, আচার্য্য ও অতিথিদের তোমার দেবতার ন্যায় আরাধ্য মনে করবে। এছাড়া অন্য অনিন্দিত সেসব কর্ম আছে সেসব তুমি করবে। আর অন্যান্য নিন্দিত যেসব কর্ম আছে, সেসব কর্ম কোনো শিষ্টজন করলেও তুমি তা করবে না।”
সে যুগের শিক্ষার প্রধান নেতিবাচক দিক হল, বর্ণ বৈষম্য। নিম্নবর্ণের মানুষের অর্থাৎ শুদ্রের জ্ঞান অর্জনে অধিকার ছিল না। তবে নারীদের বেদপাঠের এবং ব্রহ্মজ্ঞানী ঋষি হিসেবে মর্যাদালাভের কিছু নজির আছে। ব্রাহ্মণ কন্যা অথবা ক্ষত্রিয় কন্যাদের মধ্যে অনেকেই সেসময় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছেন। বৈদিক যুগের পরবর্তীকালে অর্থাৎ পৌরাণিক যুগে পিতৃতন্ত্র যতটা জোরদারভাবে সমাজে গেথে বসেছিল বৈদিক যুগে ততটা ছিল না। সেই সময়টা আসলে আদিম সাম্যবাদী সমাজের পরের স্তর -কৃষিভিত্তিক সভ্যতা শুরুর যুগ- যখন কুসংস্কারগুলো সেভাবে পাকাপোক্ত হয়নি।
বৈদিক যুগে শিক্ষা ব্যবস্থার আরেকটি দুর্বল দিক হল, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে না ওঠা। চতুষ্পাঠিগুলো হয়েছে পরবর্তি যুগে, বৈদিক যুগে নয়। চতুস্পাঠিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিয়েও সমস্যা ছিল।
ভারত উপমহাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার পথ প্রদর্শক মূলত: বৌদ্ধরা। বৌদ্ধ সভ্যতা জ্ঞানসৃজন এবং জ্ঞানবিস্তারে যে অবদান রেখেছে তা অতুলনীয়। অনেকের মতে প্রাচীন ভারতে ব্রাহ্মণ্য শিক্ষার প্রতিবাদস্বরূপ বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এই শিক্ষাব্যবস্থা সর্বজনীন হওয়ায় শুধু ভারতে নয়, ভারতের বাইরের বহু দেশের মানুষের জ্ঞানার্জনের আশ্রয় হয়েছিল। তবে শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী এবং লিঙ্গবৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর প্রতি বৌদ্ধগুরুরা সুবিচার করেননি। শিক্ষায় পুরুষরা ছিল সুবিধাভোগী। সে যুগের সমাজে পিতৃতন্ত্র বেশ শক্তভাবে স্থান করে নিয়েছিল বোঝা যায়। সঙ্গে ছিল সন্যাসের কঠোরতা, যে কারণে নারীদের দূরে রাখা হত। গুরু-ছাত্রের শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্কের সংস্কৃতি বৈদিক যুগের মতই ছিল।
বৈদিক বা ব্রাহ্মণ্য শিক্ষা যেমন উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হত, তেমনি বৌদ্ধ ভিক্ষু জীবনের আরম্ভ একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হত। বৌদ্ধ সংঘে প্রবেশ করার এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় প্রবজ্যা বা পবজ্যা। নবীন শিক্ষার্থীসহ মঠে বসবাসকারী সকলকে সঙ্ঘের নিয়মকানুন পালন করতে হত। সেগুলি হল: ১) আদত্ত (তুষ্ট হয়ে না দিলে অথবা ভীত হয়ে, ঘুষ হিসেবে অথবা অধর্মোচিত কিছু) গ্রহণ করবে না। ২) প্রাণ হরণ করবে না, ৩) মিথ্যা কথা বলবে না, ৪) মত্ততা আনতে পারে এমন পানীয় গ্রহণ করবে না, ৫) ব্রহ্মচর্য ভঙ্গ করবে না, ৬) নৃত্যগীত করবে না, ৭) মালা চন্দন, সুগন্ধী দ্রব্য ব্যবহার করবে না, ৮) কোমল শয্যায় বা উচ্চ শযায় শয়ন করবে না, ৯) সোনা, রুপা দান হিসেবে গ্রহণ করবে না এবং ১০) বিকেলে আহার করবে না। এর মধ্যে প্রথম পাঁচটি শীল বৌদ্ধদের অবশ্য পালনীয় ধর্ম ছিল। মঠে শ্রমণদের কায়িক পরিশ্রমের কাজও করতে হত। তাদের নানাভাবে গুরুকে সেবা করতে হত। ব্রাহ্মমুহুর্তে শ্রমণ শয্যা ত্যাগ করবে। বৈদিক গুরুগৃহে পালনীয় আচরণগুলোর প্রায় সবকিছুই বৌদ্ধ শিক্ষাসংস্কৃতিতে ছিল।
বৌদ্ধবিহারগুলো আসলে সবই ছিল বিদ্যালয়। ছোট বিহারগুলোতে প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ পড়ানো হলেও তার সঙ্গে ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ ছিল। কিন্তু মহাবিহারগুলোতে শিক্ষাকার্যক্রম অনেক বিস্তৃত ছিল। সেখানে বেদ, পুরাণ, ব্যাকরণ, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, চিকিৎসাশাস্ত্র আইন , শিল্পকলা, ছন্দ-ধ্বনি-কাব্য, ইতিহাস পড়ানো হত। বৌদ্ধ সঙ্ঘে সংস্কৃত, যজ্ঞ, দৈব, জৌতিষ, জাদু ইত্যাদি বিষয় নিষিদ্ধ ছিল বলে কোনো কোনো ঐতিহাসিক দাবি করেছেন। হতে পারে সেটা প্রথম দিকে। সময়ের সঙ্গে অধ্যয়ন ও পাঠ্য বিষয় বেড়েছে বলে ইতিহাসবিদরা বলছেন।
বৌদ্ধদের অনেক আগে বৈদিক শিক্ষাব্যবস্থায়ও পরা (জাগতিক) এবং অপরাবিদ্যার (আধ্যাত্মিক) যুগপৎ চর্চার ব্যবস্থা ছিল। বৈদিক গুরুরা চারবেদ এবং বেদান্ত ছাড়াও ব্যাকরণ, ধ্বনিবিজ্ঞান, ছন্দ, নিরুক্ত, কল্প ও জ্যোতিষশাস্ত্র পড়াতেন। অধিকার ভেদে (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের পেশা বিবেচনায়) বৈদিক আচার্যরা ছাত্রদের ইতিহাস, রাশি (গণিত), ব্যাকরণ, জ্যোতির্বিদ্যা, পুরাণ, ভূতবিদ্যা, ব্রহ্মবিদ্যা, সর্পবিদ্যা, অস্ত্রবিদ্যা, বাক্যাবাক্য (তর্কশাস্ত্র), একায়ন (নীতিশাস্ত্র) ইত্যাদি বিষয় পড়াতেন। কিন্তু বৌদ্ধযুগে শিক্ষাববস্থা আরও উন্নত এবং লোকশিক্ষার অংশ হয়ে গিয়েছিল। বুঝতে হবে, এখানে বৈদিক যুগ বলতে যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ২০০০ বছর পূর্বের কাল থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ বছর সময়কালকে বোঝানো হচ্ছে। এটি সেযুগের সমাজ বাস্তবতার চিত্র। আর বৌদ্ধযুগ বলতে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ বছর থেকে শুরু হয়ে খ্রিষ্টপরবর্তী প্রায় ১২০০ বছর পর্যন্ত।
খ্রিষ্টীয় একাদশ শতকের শেষভাগ হল ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধ সভ্যতার বিপর্যয়ের সময়। মানবিক জ্ঞানবিজ্ঞানে হাজার বছর যাবত বিকাশের বহমানতা পৈশাচিক আক্রমণে রক্তাক্ত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ার সময়। বাইরে থেকে ভারতবর্ষের মানুষ, সমাজ ও সভ্যতার উপর আক্রমণ আগেও হয়েছে, অনেক হয়েছে। কিন্তু জ্ঞানভূমিতে এতটা বিপর্যয় ঘটাতে পারেনি।
আগেই বলেছি, মহাবিহারগুলো ছিল একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এরমধ্যে বাংলা ও বিহার অঞ্চলে বল্লভী, জগদ্দল, সোমপুর, উদান্তপুরি, বিক্রমশীলা এবং সবার উপরে নালন্দা ছিল শিক্ষার মহাতীর্থ। এটি চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে অথবা পঞ্চম শতাব্দীর শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়। তক্ষশিলা (বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত) বৌদ্ধমহাবিহারের পরেই এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের বর্তমান বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা (প্রাচীন পাটলিপুত্র) থেকে চল্লিশ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত ছিল প্রাচীন মগধের রাজধানী রাজগৃহ। রাজগৃহের ৭ মাইল উত্তরে বড়গাঁর কাছে ছিল প্রাচীন নালন্দার অবস্থান। একটি লেখায় পড়লাম, ধ্বংস হওয়ার আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র (শ্রমণ) সংখ্যা ছিল ৭৫০০ জন। শিক্ষক ছিলেন ১৫০০ জন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছিলেন ১২০০০ জন। (সুনির্দিষ্ট কোনো সূত্র থেকে এই তথ্য যাচাই করতে পারিনি।) এখানে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে আবাসিক সুবিধা, খাবার, পোশাক ও শিক্ষা প্রদান করা হত। প্রতি ৫ জন ছাত্রের জন্য ১ জন শিক্ষক এই পদ্ধতি প্রচলিত ছিল, যা আধুনিক যুগে কল্পনাও করা যায় না। কোরিয়া, জাপান, চিন, তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, পারস্য ও তুরস্ক থেকে ছাত্র ও পণ্ডিতরা এখানে অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করতে আসতেন।
প্রাচীন মানুষের শিক্ষা ও অগ্রগতির মহাগৌরবকেন্দ্র নালন্দা। মালিক গাজি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি ১১৯৩ সালে এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেন। ঐ সময়ের ফারসি পন্ডিত ও ইতিহাসবিদ মিনহাজ-ই-সিরাজ তাঁর লেখা তাবাকাত-ই-নাসিরি গ্রন্থে বখতিয়ার খলজির আক্রমণ, লুটতরাজ ও ধ্বংসলিলার কিছু বিবরণ রেখে গেছেন। তিনি লিখেছেন,
“মুহাম্মদ-ই-বখত-ইয়ার দুইশত অশ্বারোহী নিয়ে সাহসীকতার সঙ্গে দুর্গের দিকে এগিয়ে গেলেন। প্রবেশের পর দেখা যায়, সেই স্থানের অধিকাংশ বাসিন্দাই ছিলেন ব্রাহ্মণ এবং এই ব্রাহ্মণদের সকলেরই মস্তক ছিল মুণ্ডিত। তাঁদের সকলকে হত্যা করা হয়। সেখানে প্রচুর বই ছিল। বইগুলি দেখতে পেয়ে মুসলমানেরা কয়েকজন হিন্দুকে আদেশ দেয়, তারা যেন সেই বইগুলি সম্পর্কে তাদের তথ্য দেয়। কিন্তু সকল হিন্দুকেই হত্যা করা হয়েছিল। বইগুলির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর জানা যায়, সেই দূর্গ ও শহরটি ছিল একটি মহাবিদ্যালয়। হিন্দুদের ভাষায় তাঁরা সেটিকে বলতেন মহাবিদ্যালয় বা মহাবিহার।”
মিনহাজ-ই-সিরাজ তার বইয়ে আক্রান্ত ও নিহত ব্যক্তিদের হিন্দু ব্রাহ্মণ হিসেবে উল্লেখ করলেও সম্ভবত তারা ছিলেন শ্রমণ ও ভিক্ষু। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে কতো বই ছিল তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে গবেষকদের ধারণা সেখানে লক্ষাধিক বই ছিল। ধর্মগ্রন্থের পুঁথি ছাড়াও ব্যাকরণ, সাহিত্য, ন্যায়শাস্ত্র, জ্যোতিষবিদ্যা, ভেষজবিদ্যা, জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত গ্রন্থাবলীও সেখানে সংরক্ষিত ছিল।
বখতিয়ার খলজিকে আজ কেউ দস্যু হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং কেউ দেখছে বীর হিসেবে! বিভক্ত সমাজে বিভক্ত বিশ্বাস ও বিভক্ত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে অগণিত আধাঅন্ধ উৎপাদন করা হচ্ছে। যার যেভাবে মন চায়….। নালন্দার ইতিহাস পড়তে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, সেই জ্ঞানরাজ্যে একবার যাই; সেখানে শুয়ে পরে ইতিহাসের আঘ্রাণ নেই, মাটিতে কানপেতে নিরবে শুনি হাজার বছর আগের শব্দরাশি।
* ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ ক্লাসে পাঠ্য History of Education in India বইটি থেকে কিছু তথ্য এই লেখায় নেওয়া হয়েছে।
পুলক ঘটক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী
Email: ghatack@gmail.com
[পুলক ঘটক; সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ]
⇒ ফেসবুক পেজ, ফেসবুক প্রোফাইল, টুইটার অ্যাকাউন্ট
⇒বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের ফেসবুক গ্রুপ