পুলক ঘটক: শ্রমিক শ্রেণীর মানুষকে দিয়ে শ্রমিকদের পেটানো নতুন কিছু নয়। গরীব কৃষকদের পেটানোর জন্য জমিদাররা যাদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করত, তারাও কিন্তু গরীব ও শোষিত শ্রেণীর মানুষ ছিল।
দাস-দাসীদের উপরে অত্যাচার করতেও সামন্ত প্রভুরা অপরাপর দাসদের ব্যবহার করত। দাস ব্যবস্থা উচ্ছেদের যে লড়াই তাতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল এক শ্রেণীর দাস। আবার দাসমুক্তির আন্দোলনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিবেকবান মুক্ত মানুষরা।
বিধবা বিবাহ আইনের দাবিতে সেদিনের হিন্দু বিধবারা সরব হতে পারেনি। নারীনিপীড়নতন্ত্র অর্থাৎ পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধেও সকল নারী উচ্চকন্ঠ নয়; সবাই হতে পারে না। এরসঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা আছে। কিছু মানুষ নির্বোধ, কেউ অসহায়, কেউ আবার বুঝেও আপনার বিরোধিতা করবে। কারণ তার স্বার্থ আছে।
যে নারী ভাবছে মেয়েদের সমঅধিকার দেওয়া হলে তার স্বামীর সম্পত্তিতে ননদেরা অধিকার পাবে, সে তার স্বার্থের কারণে নারী অধিকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে। সুতরাং বুঝে হোক অথবা না বুঝে হোক- দু’চারজন শিক্ষিত বা অশিক্ষিত নারীকে দিয়ে নারী অধিকারের বিরুদ্ধে কথা বলাতে পারলে মুক্তিকামী মানুষদের বিচলিত হতে হয় না।