বিবাহবিচ্ছেদ কারও কাম্য নয়। তবে তা হঠাৎ করেও হয় না! দাম্পত্যে প্রচুর ভুল বোঝাবুঝি, মারামারি ও অসঙ্গতি এদিকে নিয়ে যায়। সম্পর্কে নানা টানাপোড়েনের মুখোমুখি হয়ে মানুষ বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু বিষয় আছে যা বিবাহবিচ্ছেদের আগাম পূর্বাভাস দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো-
১. টিনেজ বা কিশোর বয়সে বিয়ে করলে তা বিচ্ছেদের দিকে গড়াতে পারে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। গবেষণা অনুসারে, বেশিরভাগ মানুষ যারা তাদের কিশোর বয়সে বিয়ে করেন পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
কিশোর বয়সের অপরিপক্কতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ঝোঁকের বশে অনেকেই বিয়ে করেন। পরবর্তী জীবনে যখন তারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে তখন বুঝতে পারে যে তারা ঠিক করেনি। বিভিন্ন কারণে পরে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটতে পারে।
২. যদি কোনো দম্পতি বেকার অবস্থায় ঘরে বসে শুয়ে দিন কাটায় তাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হতে পারে। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী যদি বেকার থাকেন তাহলে ওই সংসারে নানা টানাপোড়ের দেখা দেয়।
একে তো আর্থিক সমস্যা তার উপরে দাম্পত্যে অশান্তির জেরে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এক সময় এ সম্পর্ক বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়।
৩. বিয়ের আগে যে দম্পতিদের মধ্যে তীব্র আবেগ ও ভালোবাসা কাজ করে বিয়ের পরে ওই সম্পর্ক নাকি দ্রুত নষ্ট হয়! তবে এসব কথামাত্র। সবার এক রকম নয়। তবে বিয়ের আগে হোক আর পরে হোক, সম্পর্ক সবসময় সযত্নে নার্সিং করতে হয়। বিয়ের আগে থেকে যে ভালোবাসা ও টান অনুভব করেন বিয়ের পরও যেন তা ধরে রাখতে পারেন সে জন্য পরস্পরের ভালমন্দের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
৪. একজন বলেই গেলেন আর অন্যজন মুখ বুজে সহ্য করলেন এমনটি ঠিক নয়। আপনার সঙ্গীও যদি বিষয়টি এড়িয়ে যান তাহলে সাবধান থাকুন। হয়তো তিনি আর আপনার সঙ্গে থাকতেই চাচ্ছেন না! কারণ নিরব থাকা কোনো সমস্যার সমাধান নয়।
৫. একটি বিবাহ হলো দুটি মানুষের মধ্যে একটি পবিত্র বন্ধন। বিবাহিত জীবনে সবারই কমবেশি সমস্যা থাকে। তবে আপনাদের দু’জনের মধ্যে যদি তৃতীয় বা চতুর্থজন নাক গলানোর চেষ্টা করেন তাহলেও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটতে পারে।
এমন ক্ষেত্রে দেখা যায় বন্ধু বা পরিবারের কাছের মানুষের প্রভাবেও অনেকে সামান্য বিষয়ে ঝগড়া হলেও সঙ্গীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান। তাই অন্যের পরামর্শ ও মতামতের উপর ভিত্তি করে জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সকৃতজ্ঞ স্বীকৃতি:।।স্বয়ংক্রিয় পোস্ট ⇨সোর্স লিংক।।