সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মি. নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব মি. হেমন্ত আই কোড়াইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এর আগে গত ২৭ তারিখে বিএনপির ভেরিফাইড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ‘বিএনপি মিডিয়া সেল’ ও ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-বিএনপি’ থেকে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের নামে এক বিবৃতি প্রদান করা হয় যা সঠিক নয় বলে নতুন করে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ মে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বঘোষিত বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মি. এলবার্ট পি কষ্টার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া বলে প্রত্যাখান করেছেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মি. নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব মি. হেমন্ত আই কোড়াইয়া।
মি. এলবার্ট পি কষ্টা প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট মি. এলবার্ট পি’ কষ্টা বিগত সময়েও সমাজের নানা ধরনের বিভক্তি সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। এখনও তিনি তা অব্যাহত রেখেছেন।
২০০২ খ্রীষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিল অধিবেশনে কোনও শাখা সংগঠনের কাউন্সিলর হতে না পেরে তিনি স্বঘোষিত খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছিলেন। সমাজের কোনও কাজ তিনি করেন না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলই তার একমাত্র লক্ষ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, কে আমাদের পক্ষে কাজ করেছেন তা আমাদের জানা আছে। খ্রীষ্টান সম্প্রদায় দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, শহিদ হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তারা এদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িত চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী এই সম্প্রদায় দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোনও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অতীতে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
এর আগে বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে ‘বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশন’-এর নাম ব্যবহার করে মি. এলবার্ট পি কষ্টা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি প্রচার করা হয়।
সকৃতজ্ঞ স্বীকৃতি:।।স্বয়ংক্রিয় পোস্ট ⇨সোর্স লিংক।।