সংখ্যালঘু বনাম সংখ্যাগুরু

পুলক ঘটক

দশজন মানুষ মেজরিটি হয়েও একজন মানুষের অধিকার হরণ করতে পারে না। এক আসরে ১৫ জন ছেলে সামনে একটি মেয়েকে পেল। তাদের মধ্যে কেউ একজন প্রস্তাব দিল, চল সবাই মিলে মেয়েটাকে হরণ করি। তাতে ১৪ জন একমত পোষণ করল, কিন্তু একজন যুবক আপত্তি দিল। সেখানে ১৪ জনের মেজরিটি মতামত মানে গণতন্ত্র নয়। ঐ একজন মানুষ, যে আপত্তি দিয়েছে, তার মতামতই গণতন্ত্র।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘুর অধিকার হরণ করতে পারে না।

হিন্দু মেয়েদের অধিকার হরণের পক্ষে কতজন মানুষ আছে সেই সংখ্যা গুণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। আইন সংশোধন হবে। তবে আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষের সমর্থনেই কল্যাণকামী পরিবর্তন আসবে। তাতে হয়তো সময় লাগবে।

হিন্দু-বৌদ্ধ নারীরা তাদের অধিকারের দাবিতে মুখ খুলতে শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিবেকবান পুরুষরাও। এই উচ্চারণ ক্রমশ বাড়বে। মানুষের মধ্যে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা, ভুল ধারণা, স্বার্থপরতা, কুৎসা ও ভীতি ছড়িয়ে যে বিরোধাত্মক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে সেটাও ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। সুতরাং কারা সংখ্যালঘু, আর কারা সংখ্যাগুরু তা গণনার সময় এখনো আসেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_img
spot_img

বাছাইকৃত

বিশেষ নিবন্ধ