বিডিনিউজ২৪: আমির খান ও কিরণ রাও সাংসারিক জীবনে বিচ্ছেদ নিলেও টিকিয়ে রেখেছেন বন্ধুত্ব। এবার কিরণ শোনালেন সাংসারের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ও দায়িত্বের সমীকরণের কথা।
সংসার দুজনের হলেও নারীরা বেশি চাপে থাকে বলে মনে করে ‘লাপাতা লেডিস’ এর এই পরিচালক। তার মতে স্বজনদের নারীর কাছে প্রত্যাশা বেশি থাকে।
বলিউড হাঙ্গামা লিখেছে, এক সাক্ষাৎকারে কিরণ বলেছেন, ২০০৫ সালে বিয়ের আগে তিনি এবং আমির একসঙ্গে বসবাস করেছেন এবং সেই সম্পর্কে সততা বজায় রেখেছেন তারা। পরে বাবা-মায়ের চাপে আমিরকে বিয়ে করেন।
বিয়েকে একটা ‘প্রতিষ্ঠান’ বলে মেনে নেওয়া কিরণ বলেন, “আমরা জানতাম বিয়ে একটা দারুণ কিছু যদি দুজন মানুষ স্বতন্ত্রভাবে থাকতে পারে, আবার যুগল হিসাবেও পরস্পরের সঙ্গে থাকতে পারে।”
বিয়ের কিছু নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন এই নির্মাতা।
“একটা ব্যাপার সব বিবাহিতরাই জানেন, কিন্তু সেটা নিয়ে মুখে তেমন কিছু বলেন না। সেটা হল বিয়ের বন্ধন কিন্তু মানুষকে দমিয়ে রাখে। বিশেষ করে নারীদের ওপরে এই চাপ বেশি। ব্যাপারটা সবাই জানেন কিন্তু। সবসময় আশা করা হয়, বাড়ির নারীরা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে যোগাযোগ রাখবে। বাইরে আপনি যতই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন না কেন, ঘরের মূল কাজ সামলোনার দায়িত্ব বেচারা স্ত্রীর ওপরেই বর্তায়।”
বিবাহবিচ্ছেদ হলেও বন্ধুত্বে কোনও ঘাটতি হয়নি আমির ও কিরণের।
কিরণের কথায়, “বিষয়টা হল আমরা দুই স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসাবে পরস্পরের সঙ্গে মিশি এবং বন্ধুত্ব রাখি।”
পরস্পরের প্রতি তারা যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল বলেও জানান কিরণ।
২০০০ সালে ‘লগন’ সিনেমার সেটে আমির খান ও কিরণ রাওয়ের সম্পর্ক শুরু। ওই সিনেমার সহকারি পরিচালক ছিলেন কিরণ। ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর আমির ও কিরণ বিয়ে করেন। ২০১১ সালে তাদের ঘরে আসে ছেলে আজাদ রাও খান।
দেড় দশক একসঙ্গে থাকার পর ২০২১ সালের ৩ জুলাই এক যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের কথা জানান আমির ও কিরণ। ওই বিবৃতিতেও তারা বলেছিলেন, সন্তান হিসেবে আজাদের যাবতীয় দায়িত্ব তারা পালন করবেন। দাম্পত্য জীবনের প্রভাব পেশাগত জীবনে পড়বে না। একসঙ্গে চলচ্চিত্রে কাজ করবেন।
তবে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও যে সিনেমা জগত তাদেরকে কাছাকাছি এনেছিলেন, সেই সিনেমাই দুজনকে এক কাতারে বেঁধে রেখেছে।
কিছুদিন আগে মুক্তি পায় কিরণের পরিচালনায় ‘লাপাতা লেডিস’। আর সাবেক স্ত্রীর এই সিনেমায় সহ প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন আমির খান।
এছাড়া তারা যে সত্যি ‘পরিবারের মত’, সে কথা কাজে প্রমাণ করেছেন আমির ও কিরণ। আমিরের পারিবারিক যে কোনো অনুষ্ঠানে কিরণকে দেখা যায়। গেল মাসেই আমির কন্যা ইরা খানের বিয়ের একাধিক অনুষ্ঠানে কিরণ হাজির হয়ে নাচেগানে হুল্লোড় তোলেন। অনুষ্ঠানে কিরণের গালে আমিরের চুম্বনের ভিডিও হয় ভাইরাল।
এছাড়া সিনেমা সংশ্লিষ্ট মুম্বাইয়ের নানা অনুষ্ঠানে আমির-কিরণের যুগল উপস্থিতি স্বাভাবিক দৃশ্য হয়ে গেছে।
কৃতজ্ঞতা: ।।স্বয়ংক্রিয় পোস্ট।।সোর্স লিংক।।