দৈনিক করতোয়া: জামালপুরের সরিষাবাড়ী হিন্দু ধর্ম থেকে স্বামী-স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। মুসলমানদের আচার-ব্যবহার, ধর্মীয় রীতি-নীতি, চাল-চলন, ধর্মীয় কালচার ভালো লাগায় স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে স্বামী-স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। স্ব-ইচ্ছায় গত শুক্রবার জামালপুর নোটারী পাবলিকের এর মাধ্যমে এফিডেভিট করে নিজ ইচ্ছায় স্বাধীনভাবে সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন গণেশ (৩৬)। বর্তমানে তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ যার রেজিঃ নং- ১৮০১। তিনি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের মহিষাভাদুরিয়া গ্রামের বর্জনাথ রানীর ছেলে। শুক্রবার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্ত্রী পুতুল রানী (২৬) সনাতন হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। এ বিষয়টি শুক্রবার জুমার নামাজের পর মহিষাভাদুরিয়া গ্রামে জামালপুর পৌরসভার সচিব মো. হাবিজুর রহমান এর বাড়িতে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মহিষাবাদুরিয়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতী মুহাম্মদ আল-আমিন এর কাছে কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পুতুল রানী। বর্তমান নাম মোছা: আমেনা খাতুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর পৌরসভার সচিব মো. হাবিজুর রহমান,ভাটারা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শামসু ভূঁইয়া, সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক তৌকির আহাম্মেদ হাসু, ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক নেতা জহুরুল ইসলাম, আমেনা খাতুন এর উকিল পিতা শাহজাহান মন্ডল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মমিন মিয়া, আইয়ুব আলী সহ আরো অনেকে।এ সময় সদ্য মুসলিম হওয়া এ পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর। তাদের দুজনকে আবার নতুন করে ইসলাম শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেওয়া হয়।
ইসলাম গ্রহনের কারণ সম্পর্কে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানায়, ইসলামের সব নিয়ম কানুন আমার ভালো লাগে, বিশেষ করে মুসলমানদের আচার- আচরণ ভালো লাগে। আমি প্রায় বছর খানিক ধরে ইসলাম গ্রহনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা- ভাবনা করে আসছিলাম।অবশেষে গত শুক্রবার জামালপুর নোটারী পাবলিকের এর মাধ্যমে এফিডেভিট করে আইনগতভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি। তার স্ত্রীর বিষয় জানতে চাইলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার কথা হতো,আমি ইসলাম গ্রহনের পরপরই তাকে মুসলমান হওয়ার জন্য দাওয়াত দিলে প্রথমে সে একটু ইতস্ত হলেও পরবর্তীতে সে ইসলাম গ্রহনে আগ্রহী হলে স্থানীয় মহিষাবাদুরিয়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতী মুহাম্মদ আল-আমিন এর কাছে শুক্রবার দুপুরে কালিমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে।
ইসলাম গ্রহনকারী নাম মুসলিমা আমেনা বেগম জানায়, স্বামী ইসলাম গ্রহন করে আমাকে ইসলামের দাওয়াত দেয়। প্রথম প্রথম একটু কেমন কেমন লাগলেও পরে ইসলাম গ্রহনে রাজি হয়ে যাই।রাজি হতে স্বামী জোড় করেছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আমেনা বেগম জানায়,না কোন জোর জবর দস্তিতে নয়, মুসলমানদের সকল কাজ-বাজ ভালো লাগায় সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় স্বাধীনভাবে ইসলাম গ্রহন করেছি। বাকি জীবনটা ইসলামে আদর্শ অনুসরণে কাটাতে চাই।
।।স্বয়ংক্রিয় পোস্ট।।সোর্স লিংক।।