আজ ১লা সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও তৃতীয় বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ভালোবাসা।
দেশের নারীরা এখন আর কারো দয়ার পাত্রী না, নিজ কর্মগুণে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে দেশের নারীদের সুনাম, সফলতার কথা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে এভারেস্ট জয়, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে মাথা উঁচু করে দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরাতে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই আমাদের বোনরা, কন্যারা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক যে কোনো দুর্যোগে নারীরাও এখন দক্ষতার সাথে সামাল দিচ্ছে যে কোনো বৈরী পরিস্থিতি। তারপরও পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় আমরা এখনো নারীদের যে কোনো অর্জনকে বাঁকা চোখে দেখি, নিজেদের মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাই বিভিন্ন কুযুক্তি আর কুমন্তব্যের মাধ্যমে। বিভিন্ন নারী সংঘটন নারীদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ে কাজ করছে দেশের সর্বত্র। সংখ্যায় কম হওয়াতে এমনিতেই হিন্দু ধর্মীয় নারীরা বিভিন্ন অবহেলার, নির্যাতনের বঞ্চনার শিকার। তার উপর ধর্মীয় কিছু বিধি বিধান এর নিয়ম চাপিয়ে দিয়ে হিন্দু সমাজেরই কিছু সুবিধাব্যাধি (সুবিধাবাদীদের কে আমার নতুন নাম দেয়া) লোক নিজেদের কর্তৃত্ব, স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে যে সময়ে হিন্দু সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে তখনই হিন্দু সমাজের কিছু আলোকিত, মানবতাবাদী মানুষ মিলে স্রোতের বিপরীতে, হিন্দু নারীদের মায়েদের বোনেদের কন্যাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, সমাজে অন্য সব নারীদের মতো হিন্দু নারীদেরও এগিয়ে নিতে দুই বৎসর আগে ২০২১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করায় একটি সংঘটনের -বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ। আজ এই দিনে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যে সব মানবতাবাদী মানুষ এই সংঘটনের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং যে সব সহযোদ্ধারা সারাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন, এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদকে সবাইকে আবারো কৃতজ্ঞতা, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা শত বাধা অতিক্রম করেও পাশে থাকার জন্য।
একদিন বিজয় হবেই, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবোই।