একজন মেয়ের ভাগ্যে কেমন স্বামী পড়বে, তাকে ভালোবাসবে কি না, সম্মান করবে কিনা, সাপোর্ট করবে কিনা, প্রতিটি ক্ষেত্রে তার মতামত কে প্রাধান্য দিবে কিনা এসব হয়ত আমরা পিতা মাতারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কিন্তু আমরা চাইলেই কিন্তু আমাদের সামর্থ অনুযায়ী তার ভবিষ্যৎ টা নিরাপদ ও সুন্দর করতে পারি। পরের ছেলের আচরণের উপর হয়ত আমার হাত নেই কিন্তু আমার নিজের কন্যার প্রতি আমার নিজের আচরণ, তার প্রতি দায়িত্বশীলতা, তার প্রতি যত্নে আমাদেরই কিন্তু অধিকার। অনেক পিতা মাতাই ভুলে যান যে তার কন্যা সন্তান টি কিন্তু নিজ ইচ্ছায় পৃথিবীতে আসে নি, তারা চেয়েছেন তাই সে এসেছে। সে একজন স্বতন্ত্র মানুষ তার অধিকার রয়েছে পৃথিবীর বুকে নিজের অধিকার নিয়ে মাথা উচু করে বেঁচে থাকার, সে কারও স্ত্রী হয়ে অন্যের বাড়িতে দাসী বৃত্তি করতে পৃথিবীতে আসে নি। কন্যার জীবনের সম্ভাবনা গুলো কে বুঝুন, তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে সে যেন সফল মানুষ হতে পারে সে বিষয়ে মনোযোগ দিন, পান থেকে চুন খসলেই তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা থেকে সরে এসে তার জীবনটা যাতে আলোয় ভরে উঠে, সে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যবস্থা নিন। অনেক সময় মেয়েরা কিশোরী বয়সে ভুল করে, প্রেম ট্রেম করে, এটাই স্বাভাবিক, বিজ্ঞান বলে, হরমোনের কারণে কিশোরী বয়সে সহজেই মানুষ প্রেমে পড়ে আর এটাই প্রকৃতির নিয়ম তাই বলে তার উপর রাগ করবেন না, তার উপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিবেন না, মনে রাখবেন সে আপনার সন্তান, যত যাই হয়ে যাক না কেন আপনি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন তার জীবন টাকে সুন্দর করে তুলতে তবেই না আপনি বা আপনারা আদর্শ পিতা মাতা। বাংলাদেশের হিন্দু পিতা মাতা কে বলছি পেরেন্টিং হেলা ফেলার বিষয় না, আপনি যেমন গাছ লাগাবেন তেমন ফল পাবেন। যেসব পিতা মাতারা মেয়েদের বঞ্চিত করে শুধু ছেলেদের উপর ইনভেস্ট করে তাদের শেষ পরিণতি কিন্তু ভালো হয় না।
কন্যা সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়বদ্ধতা
32