শর্মিষ্ঠা পাল: ইদানীং অনেক হিন্দু দের মধ্যে দেখছি যে, প্রাচীন প্রথা, নিয়ম কানুন, ধর্মীয় গোড়ামি, কুসংস্কার এসবের দিকে ঝুকছে বেশি। যেখানে আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থায় জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা দ্বারা নিজেদের চিন্তা ধারাকে প্রগতিশীল, ধর্ম চর্চাকে আরও মানবিক করে তোলার কথা সেখানে এরা ঝুকছে প্রাচীন কুসংস্কার এর দিকে।
কিভাবে নারী পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়, কিভাবে বৈষম্য দূর করা যায়, সেসব দিকে আলোকপাত না করে বর্ণাশ্রম প্রথা আকড়ে ধরতে চাইছে। আবার নিজেদের মত করে বর্ণ প্রথাকে মোডিফাই করে বলছে যারা উচ্চ শিক্ষিত তারা ব্রাহ্মণ্, যারা ডিফেন্সে আছে তারা ক্ষত্রিয়, যারা ব্যাবসায়ী তারা বৈশ্য, যারা শ্রমজীবী তারা শূদ্র।
মোটকথা শ্রেণীর বিভাগ রাখতে চাইছে হিন্দু সমাজে। সকল মানুষ সমান, সকলের মর্যাদা পাবার অধিকার রয়েছে, এই বিষয়টি তারা কিছুতেই মানবে না, তারা উচু নিচু ভেদাভেদ করবেই, সেটা শিক্ষার ডিগ্রি দিয়ে হোক বা অর্থ দিয়ে হোক। নারীর সম অধিকারেও এরা বিশ্বাসী নয়। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই এই কথা তারা মানে না। তারা ধর্মের নামে অমানবিকতা চর্চাতেই বেশি আগ্রহী।