শর্মিষ্ঠা পাল: বাংলাদেশের হিন্দু পিতা- মাতা যদি সত্যিই তাদের কন্যা কে ভালোবাসতেন তাহলে এই আইন সংস্কারের জন্য এত আন্দোলন করতে হত না, কবেই আইন সংশোধন হয়ে যেত।
পিতা- মাতা যদি মেয়েকে প্রকৃত ভালোবাসতেন তাহলে আইন নেই জেনেও মেয়েদের খোদার নামে বিয়ে দিতে পারতেন? ভাগ্যের উপর ভিত্তি করে মেয়েদের এইভাবে ছেড়ে দিতে পারতেন?
কয়জন সনাতনী বাবা- মা মেয়েদের ভবিষ্যৎ সিকিউর করে তারপর তাদের বিয়ে দেয়? একটা মেয়েকে ধুমধাম করে টাকা খরচ করে বিয়ে দেয় যদি স্বামী ভালো হয় তাহলে তো কপাল ভাল, কিন্তু যদি ভালো না হয়, অত্যাচারী হয় তখন মেয়েটির কি হবে সেই ব্যাবস্থা রাখে না তারা।
ছেলে ও মেয়ে দুজনকেই লেখাপড়া শিখায় কিন্তু তফাত হল ছেলেদের জন্য সহায়, সম্পত্তি সব রাখে কিন্তু মেয়ের জন্য কিচ্ছু রাখে না। টাকা, পয়সা, সহায়, সম্পত্তি এগুলো মানুষের আপদকালীন পরিস্থিতি তে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য প্রয়োজন এই কথা সবাই জানে।
একটা সন্তান শুধু মাত্র কন্যা হওয়ার কারণে তার জন্য কোন সহায় সম্পত্তির ব্যাবস্থা না রেখে যাওয়া টা হল বাবা-মায়ের হিপোক্রেসির চূড়ান্ত উদাহরণ।