ভারতপথিকের পদচিহ্নে প্রগতির দিশা

ছোটন সুশীল: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উনাকে সম্বোধন করতেন “ভারতপথিক” নামে। বিপিন চন্দ্র পাল বলতেন, ভারতবর্ষের শিক্ষার ইতিহাসে উনি ছিলেন আধুনিকতার অগ্রদূত।

পরিবার, সমাজের বাধার মুখেও সতীদাহ প্রথা, ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দূরীকরণ, নারী শিক্ষা প্রসার, যুক্তিবাদী মানসিকতা গঠন, সমাজ সংস্কারক, একেশ্বরবাদী ব্রাম্ম ধর্ম প্রতিষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা, নারীর অধিকার রক্ষা, সম্পত্তিতে নারীর অধিকার আন্দোলনের অগ্রপথিক, বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহ রোধে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখা, জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতাসহ ধর্মীয় অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কারে নিমজ্জিত (গঙ্গায় সন্তান বিসর্জন, সতীদাহ প্রথা, নারীদের রক্ষণশীলতা ) সমাজকে মুক্ত করার, ভারতীয় রেনেসাঁর অগ্রদূত, নবজাগরণের প্রাণ পুরুষ রাজা রামমোহন রায় এর জন্মদিনে (22 মে ) জানাই শুভ জন্মদিন ও শ্রদ্ধা।

রামমোহন রায় অন্ধকারের বিরুদ্ধে যে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন সেই প্রদীপ শত বছর পর ও এখনো জ্বলমান। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাংলার হিন্দু সমাজে অন্ধকার কুসংস্কার দূরীকরণে হাজারো রামমোহন দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সেই প্রদীপের শিখায় আবারো আলোকিত হবে বর্তমান কুসংস্করাচ্ছন্ন অন্ধকরাচ্ছন্ন হিন্দু সমাজ।আবার সংস্কার হবে হিন্দু সমাজের অমানবিকতা এই প্রজন্মের হাজারো রামমোহন এর হাত ধরে, রাজা রামমোহন রায় এর জন্মদিনে এই হোক প্রতিজ্ঞা। শুভ জন্মদিন ও শ্রদ্ধা হে মহান পুরুষ।

*ফেসবুকে প্রকাশিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_img
spot_img

বাছাইকৃত

বিশেষ নিবন্ধ